প্রেমে বাস্তবতাকে প্রাধান্য দিন,জীবন সুস্হ ও সুন্দর রাখুন

প্রেম,ভালোবাসার ফঁাদে পড়েনি এমন চেনাজানা মানুষের অভাব বোধ হয় খুব কম।
প্রতিনিয়ত শত শত মানুষকে প্রেমের নামে প্রতারিত হতে হচ্ছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম প্রতারণার এক স্বর্ণ মৃগ মাধ্যম।সমাজের অন্যান্য শ্রেণীর তুলনায় নারীরা তুলনামূলকভাবে বেশি প্রতারিত।
সুন্দর, কোমল প্রেমিকের মনোভাব বিকৃত হতে সময় নেয় না সেখানে।
অল্প অল্প করে বেড়ে ওঠা প্রেম,ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে।তারপর একজন অন্যজনকে ছেড়ে না থাকতে পারার কত কল্পকথা।
একসময়  দেবতা সমতূল্য প্রেমিক আবদার করে বসে আপত্তিকর ছবির।নারী কি কবরে বুঝে না ওঠার আগেই,অপর দিক হতে নানা রকম আশ্বাস ভেসে আছি,যেন আপনি তার বিবাহিত স্ত্রী।
তারপর যদি এ দিক থেকে সঠিক প্রত্যুত্তর পায়।
ব্যাস! আপনার জীবন শেষ।

মনে রাখবেন,আপনাকে যে ভালোবাসবে সে এমনিতেই ভালোবাসবে।তার ভালোবাসার জন্য কোনো আশ্লীল ছবি,ভিডিও দরকার পড়বে না।
আর যদি এগুলো ছাড়া সে আপনাকে ভালোবাসতে না পারে,বুঝে নিবেন তার ভলোবাসা আপনার জন্য নয়,যে কোনো একটা নারী শরীরই তার জন্য ভালোবাসার বস্তু,সে কখোনোই আপনাকে ভালোবাসতো না।
সো,আপনি বেচে গেলেন একজন ঠকের হাত থেকে।

আর যদি ইতিমধ্যে আপনার মূল্যবান ছবিগুলো ;-) হস্তান্তর করেই ফেলেন তাহলে বলবো,যা করেছেন যথেষ্ট।
কান ধরে প্রতিজ্ঞা করুন,আর নিজেকে শুধরে নেন।এরপরও যদি আপনার প্রেমিক আপনাকে ভালোবেসে থাকে,,,গ্যারান্টি দিচ্ছি আপনাকে ঠকাবে না।

কারো ইমোশনাল কথাবার্তা একদম পাত্তা দিবেন না।আর পাত্তা দিতেই পারেন,তবে সেগুলো তার আগে বিচার করে দেখবেন আপনার জন্য ক্ষতিকর কি না।আপনাকে নিজের প্রাণের চেয়ে দামি,তার ওয়াইফ,তার কাছে সবচেয়ে দামী ইত্যাদি ইত্যাদি বলে ভোলাতে পারে,আর আপনি এতটাও বোকা নয় যে এগুলোতে ভুলে যাবেন।বুঝতে শিখুন এগুলোর সবটাই যেমন মিথ্যা,তেমন সেও।

আপনাকে আপনার পরিবারের উর্ধে কেউ কখোনো ভালোবাসেনি,আর বাসবেও না।
সাময়িক ভাবে মনে হতে পারে আপনার পরিবার আপনাকে ভালোবাসছে না,তবে বিচার করে দেখুন তার পেছনের আপনার কল্যাণ ছিলো।
তাই,আগে পরিবারের কথা ভাবুন পেছনে অন্য কিছু।

নিজের ক্যারিয়ার সম্পর্কে ভাবছেন আবার নিশ্চিতে প্রেম করছেন?
সাবধান! প্রেম করছেন করুন,কিন্তু "হুকুম মেরে আকা" টাইপ,,,,,,মানে কারো গোলাম হলে সমস্যা।
নিজের স্বাধীনতা নিজের কাছে রাখুন,নিজের নিজন নিজে গড়ে তুলুন,তারপর না হয় অন্য কাউকে আপনার জীবনে জড়াবেন।

জীবন আপনার,সুতরাং জীবনকে সুন্দর রাখার দায়িক্ত আপনার।প্রতিটি কাজ করার আগে নৈতিকতাকে প্রশ্নের মুখোমুখি দাড় করান,তারপর ভেবে চিন্তে সিদ্ধান্ত নিন।আপনার নিজের জীবনকে নির্মল রাখার মাধ্যমে সমাজকে নির্মল রাখুন।

Comments

Popular posts from this blog

এ্যন এপোলজি ফর পোয়েট্রি

সূরা ইনশিরাহ্